সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানিয়েছেন, চলতি বছরের অক্টোবরের শেষ সপ্তাহের মধ্যে জুলাই স্মৃতি জাদুঘরের নির্মাণকাজ শেষ হবে। আর নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার পরিকল্পনা রয়েছে। শনিবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক বৈঠকে এই তথ্য জানানো হয়।
এই জাদুঘরে পিলখানা ট্র্যাজেডি, গুম ও খুন, আয়নাঘর, শাপলা চত্বরের ঘটনা এবং দীর্ঘ দুঃশাসনের নানা চিত্র তথ্য-উপাত্তসহ উপস্থাপন করা হবে। ফারুকীর ভাষায়, “ষোলো বছরের স্বৈরশাসনের ইতিহাস যেন মানুষ স্পষ্টভাবে জানতে পারে এবং মনে রাখতে পারে, সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।”
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস জাদুঘরের উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, এই জাদুঘর মানুষকে অন্যায় ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে অনুপ্রাণিত করবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দর্শনার্থীরা এখানে এসে গণআন্দোলনের চেতনা অনুভব করবেন।
জাদুঘরের চিফ কিউরেটর তানজীম ওয়াহাব জানান, এখানে একটি বিশেষ স্ক্রিনিং সেন্টারও থাকবে যেখানে জুলাইয়ের ঘটনাবলি ও দীর্ঘ দুঃশাসন নিয়ে তৈরি ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হবে। গুম ও খুনের প্রমাণস্বরূপ অডিও–ভিজ্যুয়াল কনটেন্টও সংগ্রহ করা হয়েছে, যা দর্শকদের সামনে তুলে ধরা হবে।
এ বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্য ড. নাবিলা ইদ্রিসসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। এছাড়া গবেষক, স্থপতি, শিল্পী ও সমন্বয়কারীরাও উপস্থিত ছিলেন।