ঢাকা

ইসরায়েলের হামলার টার্গেট ছিল ইরানের রাজনৈতিক বন্দিরাও

ছবি: সংগৃহিত ছবি: সংগৃহিত
-
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে টানা ১২ দিনের তীব্র সংঘাতের পর বর্তমানে উভয় দেশের মধ্যে একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতির আগে ইসরায়েলের চালানো একাধিক হামলায় ইরানে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

রোববার (২৯ জুন) ইরানের বিচার বিভাগের বরাত দিয়ে দ্য ডন ও টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবরে জানানো হয়, গত ২৩ জুন ইসরায়েল রাজধানী তেহরানের বিখ্যাত এভিন কারাগারে বিমান হামলা চালায়। এতে অন্তত ৭১ জন নিহত হন।

ইরানের বিচার বিভাগের মুখপাত্র আসগর জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে কারাগারের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর তরুণ সদস্য, রাজনৈতিক বন্দি, বন্দিদের পরিবারের সদস্য এবং আশপাশে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ রয়েছেন।

রাজনৈতিক প্রতীকে হামলার অভিযোগ ইরানের

এভিন কারাগার মূলত রাজনৈতিক বন্দিদের জন্য পরিচিত, যেখানে বহু বিদেশি নাগরিকও আটক রয়েছেন। ইরানের দাবি, ইসরায়েলের হামলা শুধু সামরিক বা পরমাণু স্থাপনাকে লক্ষ্য করে চালানো হয়নি, বরং রাজনৈতিক কাঠামোর প্রতীকী প্রতিষ্ঠানগুলোকেও টার্গেট করা হয়েছে।

কারাগারটিতে আটক দুই ফরাসি নাগরিক সেসিল কোলার ও জ্যাক প্যারিসও রয়েছেন, যাদের তিন বছর ধরে বন্দি করে রাখা হয়েছে।

হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-নোয়েল বারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, “তেহরানের এভিন কারাগারে হামলা আমাদের নাগরিকদের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলেছে। এটি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।”

১২ দিনে ৬১০ জন নিহত, উদ্বেগ আন্তর্জাতিক মহলে

ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, ১২ দিনের এই সংঘাতে ইসরায়েলি হামলায় ইরানে মোট ৬১০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৩ জন শিশু ও ৪৯ জন নারী রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ইসরায়েল প্রথমে ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। পরে ইরানের প্রতিক্রিয়ার জবাবে যুক্তরাষ্ট্রও ইসরায়েলকে সহায়তা করে হামলায় যোগ দেয়। এতে ব্যাপক প্রাণহানি ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়, যার মধ্যে এভিন কারাগারে হামলা ছিল সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা।

সূত্র: দ্য ডন, টিআরটি ওয়ার্ল্ড, মিজান (ইরানি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম)



কমেন্ট বক্স