নিউজ ডেস্ক
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরের দিকে হঠাৎ ভবনটিতে আগুন লাগে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে। এখনো পর্যন্ত আগুনের সূত্রপাতের কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে—ভবনের নিচতলায় অবস্থান নেওয়া কিছু রাজনৈতিক কর্মীর সংঘর্ষের পরই আগুনের সূত্রপাত হয়।
সংঘর্ষের পটভূমি
এর আগে শেখ হাসিনার বিচার ঘিরে ঘোষিত ‘লকডাউন কর্মসূচি’ প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের সামনের সড়কে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রশিবিরের ব্যানার টানানো হয়, যেখানে কর্মীরা জাতীয় পতাকা মাথায় বেঁধে ও লাঠি হাতে অবস্থান নেন।
চোখে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, দুই পক্ষের মধ্যে বিক্ষিপ্ত ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর ভবনের একাংশে ধোঁয়া উঠতে শুরু করে। স্থানীয় দোকানপাট তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ হয়ে যায় এবং এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
অতীত প্রেক্ষাপট
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছিল। দীর্ঘ সময় পরিত্যক্ত থাকার পর ভবনটি পুনর্নির্মাণ করে সেখানে স্থাপন করা হয় ‘আন্তর্জাতিক ফ্যাসিজম ও গণহত্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট’—যা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের সংগঠনগুলোর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়।
নিরাপত্তা জোরদার
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন, আদালত এলাকা ও রাজনৈতিক দলগুলোর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন। প্রাথমিকভাবে আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা না গেলেও তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
