ঢাকা

শ্বশুরবাড়ি থেকে জামাইয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার: আত্মহত্যা নাকি হত্যা?

-

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় এক তরুণের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। নিহতের নাম হাসান মাহমুদ নীরব (২২)। বৃহস্পতিবার বিকেলে লালপুর উপজেলার তেনাচুরা কামারহাটি (আব্দুলপুর) এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নীরব বাগাতিপাড়া উপজেলার খাটখৈইড় গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম ও রুবিনা বেগমের ছেলে। প্রায় কয়েক মাস আগে তিনি লালপুরের মীম আক্তারকে (১৮) বিয়ে করেন।

স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সময় শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাড়িতে ছিলেন না। ঘরে ছিলেন শুধু নীরব ও তার স্ত্রী মীম। মীম ঘরের বাইরে কাজে ব্যস্ত ছিলেন। পরে অনেক ডাকাডাকির পরও সাড়া না পেয়ে তিনি দেখতে পান দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। প্রতিবেশীদের সহায়তায় দরজা ভেঙে প্রবেশ করলে দেখা যায়, নীরব ঘরের তীরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছে।

দ্রুত তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নীরবকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের পিতা রবিউল ইসলাম বলেন, “আমার ছেলে শান্ত-স্বভাবের ছিল, কোনো খারাপ অভ্যাসও ছিল না। সকালে কলেজে গিয়েছিল, দুপুরে শ্বশুরবাড়িতে আসে। বিকেলে হঠাৎ খবর পেলাম সে নাকি আত্মহত্যা করেছে! এটা মানা যায় না। আমি মনে করি, আমার ছেলেকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আমি এর ন্যায্য বিচার চাই।”

অন্যদিকে নীরবের শাশুড়ি জানান, “আমরা সবাই এক আত্মীয়ের অসুস্থতার খবর শুনে আড়ানী গিয়েছিলাম। পরে শুনি নীরব আত্মহত্যা করেছে। কীভাবে বা কেন, তা আমরা জানি না। আমার মেয়ে মীমও কিছু বলতে পারছে না, সে ভীষণ মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।”

বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে এটি একটি ইউডি (অস্বাভাবিক মৃত্যু) মামলা হিসেবে প্রক্রিয়াধীন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”




কমেন্ট বক্স