দায়িত্ব পালনে অযোগ্য হয়ে পড়ায় হাইকোর্ট বিভাগ থেকে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারকে অপসারণ করেছেন রাষ্ট্রপতি। আজ বুধবার আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তদন্তে বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারের বিচারিক দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা হারানোর বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৬–এর বিধান অনুযায়ী তাঁকে ৫ নভেম্বর পদচ্যুত করা হয়েছে।
গত বছর অক্টোবরে রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বিচার বিভাগের মধ্যে ‘দলীয় প্রভাব ও অসদাচরণ’–সংক্রান্ত অভিযোগ ওঠায় খুরশীদ আলমসহ ১২ বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়। এরপর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের তদন্ত প্রক্রিয়া এগোতে থাকে।
এ পর্যন্ত এই প্রক্রিয়ায় তিন বিচারপতি অপসারিত হলেন—খিজির হায়াত ও খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের পর খুরশীদ আলম সরকার তৃতীয়। একই অভিযোগে দুই বিচারপতি এর আগেই পদত্যাগ করেন, আর তদন্তাধীন তালিকার দুজন বিচারপতি অবসরে গেছেন।
২০১১ সালের ২০ অক্টোবর তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০১৩ সালে স্থায়ী বিচারক হন।
বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৪ সালে করা ষোড়শ সংশোধনী আদালত বাতিল করার পর পুনরায় সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের অধীনে বিচারপতি অপসারণের প্রক্রিয়া চালু হয়। এই ব্যবস্থার আওতাতেই তদন্তের ভিত্তিতে এ অপসারণ কার্যকর হলো।