পাঁচটি সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকের একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সরাসরি কোনো আর্থিক সুরক্ষা নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার চাইলে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নিতে পারে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য জানায়।
এই একীভূত প্রক্রিয়ায় থাকা পাঁচটি ব্যাংক হলো—ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক এবং যুক্তরাজ্যের এফসিডিও-র কারিগরি সহায়তায় সরকার ‘ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে। এই অধ্যাদেশে আমানতকারী, শেয়ারহোল্ডার ও পাওনাদারদের অধিকার সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।
অধ্যাদেশের বিভিন্ন ধারায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনে রেজল্যুশন টুলস প্রয়োগের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার ও দায়ী ব্যক্তিদের ওপর লোকসান আরোপ করতে পারবে। তবে যদি কোনো ব্যাংক অবসায়ন প্রক্রিয়ার ফলে শেয়ারহোল্ডাররা অতিরিক্ত ক্ষতির মুখে পড়েন, তাহলে নিরপেক্ষ মূল্যায়নের ভিত্তিতে সরকার ক্ষতিপূরণ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক কনসালটিং ফার্মের অ্যাসেট কোয়ালিটি রিভিউ (AQR) ও বিশেষ পরিদর্শনে দেখা গেছে, এই পাঁচ ব্যাংকেরই নিট সম্পদের মান ঋণাত্মক এবং তারা গুরুতর লোকসানে রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে ২৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং সেক্টর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, একীভূত প্রক্রিয়ায় শেয়ারহোল্ডারদেরই ব্যাংকগুলোর লোকসানের দায়ভার বহন করতে হবে।
একীভূতকরণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকলেও বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো আর্থিক সুবিধা নির্ধারিত হয়নি। এ কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি স্পষ্ট করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।